এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৩৪ দশিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বুধবার (৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, ভোট নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট। কারণ এবারের উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বড় ধরনের কোনও সহিংসতা নেই। আজ বিকেল ৪টায় চতুর্থ ধাপে দেশের ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনার কাজ করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে দেশের ৬০ উপজেলার ৫ হাজার ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে ছয়টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হয়। নির্বাচন কমিশন জানায়, চতুর্থ ধাপে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের চেয়ারম্যান, রংপুরের বদরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হয়েছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। তৃতীয় ধাপে মোট ১ হাজার ১৫২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৯ মে এই ধাপের নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে।